Tuesday 6 June 2017

BANGLADESH vs AUSTRALIA Match HIGHLIGHTS

https://www.youtube.com/channel/UCZ9BvGVJI8ekYiPxC2pzeug

ICC Champions Trophy, 5th Match, Group A: Australia v Bangladesh at The Oval, Jun 5, 2017
BANGLADESH vs AUSTRALIA Match Result : 
Bangladesh 182 (44.3 ov)
Australia 83/1 (16.0 ov)

Another great innings from Tamim Iqbal - 95 Run

https://www.youtube.com/channel/UCZ9BvGVJI8ekYiPxC2pzeug
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ ‘এ’থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এই সুবাদে জয়ের জন্য ১৮৩ রানের লক্ষ্যে এখন ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া।
সোমবারের (৫ জুন) কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এই সুবাদে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৪.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগার ব্যাটসম্যানরা। এ ম্যাচে মাত্র ৫ রানের জন্য আসরের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের। দলের হয়ে তিনিই করেছেন সর্বোচ্চ ৯৫ রান। এছাড়া ৪৮ বলে ২ চারের সহায্যে ২৯ রান করেন সাকিব আল হাসান। আর শেষ মুহূর্তে ২৬ বলে এক চারের সাহায্যে ১৪ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া টাইগারদের আর কোন ব্যাটসম্যানই এদিন দুই অন্কের কোটায় পৌঁছাতে পারেননি।
অজিদের পক্ষে এদিন একাই চারটি উইকেট তুলে নিয়েছে মিচেল স্টার্ক। ২ টি উইকেট নিয়েছেন এডাম জাম্পা। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেনপ্যাট কামিন্স, জস হ্যাজেলউড,ময়েজেস হেনরিকস ওট্রাভিস হেড।
টাইগার ইনিংসের শুরুতেই এদিন দলীয় ২২ রানের সময় হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ আউটের শিকার হন ওপেনার সৌম্য সরকার। বিদায় নেওয়ার আগে ১১ বল মোকাবেলা করে তিনি সংগ্রহ করেন মাত্র ৩ রান। এরপর দলীয় ৩৭ রানের সময় ওয়ানডাউনে নামা ইমরুল কায়েসও পথ ধরেন সৌম্যের। কামিন্সের বলে ফিঞ্চের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে তিনি ১৬ বলে সংগ্রহ করেন মাত্র ৬ রান।
দলের ব্যাটিং লাইনের অন্যতম ভরসার প্রতীক মুশফিকুর রহীমও হয়েছেন এদিন ব্যর্থ। এদিন অনেকটা দূর্ভাগ্যেরও শিকার হয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত ৯ রানেই ময়েজেস হেনরিকসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশি এই উইকেটরক্ষক। পরবর্তিতে রিপ্লেতে সেটি ব্যাট ছুঁয়ে গেছে দেখায়। কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিল। কারন রিভিউ না নিয়েই মাঠ ছাড়েন টাইগারদের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
আগের ম্যাচে খেলতে নেমে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ রান করেই সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। আজ দেখেশুনেই খেলছিলেন এই অলরাউন্ডার। সম্ভাবনা জাগিয়েও ফিরে যান সাকিব। ট্রাভিস হেডের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। বিদায়ের আগে ৪৮ বলে দুটি চারে ২৯ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
শেষদিকে এসে বল হাতে ঝড় তোলেন অ্যাডাম জাম্পা। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই সাব্বির রহমান রুম্মনকে ফেরান তিনি। ৮ রান করে স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সাব্বির। তার বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারলেন না। মাহমুদউল্লাহও ফিরেছেন জাম্পার বলে বোল্ড হয়ে। তিনিও করেছেন ৮ রান।
এদিকে, টানা দ্বিতীয় এবং ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি করা হলো না টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতেই মিচেল স্টার্কের বলেহ্যাজেলউডের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরতে হয় তামিমকে। ফেরার আগে ১১৪ বলে ৯৫ রান সংগ্রহ করেছেন তামিম। এই ইনংসে তামিম হাঁকিয়েছেন ৬ চার এবং ৩ ছক্কা।
তামিম ফেরার পরপরই সাজঘরের পথ ধরেন আট নম্বরে নামা দলপতি মাশরাফি এবং নয় নম্বরে নামা রুবেল হোসেন। এ দু’জন রানের খাতা খেলার আগেই শিকার হন স্টার্কের।
এর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে তামিম-মুশফিক-মাশরাফিরা।
পরিসংখ্যানের পাতা উল্টালে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮ ওয়ানডে ম্যাচে ১৭ হারের বিপরীতে কেবল একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে একমাত্র জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ইংল্যান্ডের সেই কার্ডিফে না হলেও কেনিংটন ওভালে অসিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ। তারকাসমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ১২ বছর আগের ওই জয়কে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ একাদশ :
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ :
স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ, ময়েজেস হেনরিকস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ট্রাভিস হেড, ম্যাথু ওয়েড (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, প্যাট কামিন্স ও জস হ্যাজেলউড।